Posts

উপলব্ধি ~ মুহসিনাহ তাসনিম লোবা || অভিযাত্রী ||

Image
উপলব্ধি জীবনের বিস্তৃর্ণ বেলাভূমিতে কত শত স্বপ্নের বীজ বোনা। নানা সাগরের বর্ণিল সৈকত  ঝিরি ঝিরি বাতাসের শব্দ। সুনীল আকাশে ভেসে বেড়ানো তুলতুলে ভেজা মেঘতরী শ্যামল নিঃস্তব্ধ বন-বনান্তর মোহমুগ্ধ অন্তরে আমার দিতে পারেনি একবিন্দু সত্যের আলোর বিচ্ছুরণ। মিথ্যার আগল ভেঙ্গে সত্য ও শান্তির খোঁজে শত কষ্টের নির্মমতা পাড়ি দিয়ে হৃদয়ের কোনে শুনি কার বিচরণ ? পাঁজরের ভাঁজে ভাঁজে এ কোন আলোড়ন? বিজয়ের বার্তা এলো বুঝি নির্জীব প্রাণে ঈমানের প্রোজ্জ্বলন। হে রব ! তুমি আমার পাপের পাহাড়ে দিলে রহম বৃষ্টির সিক্ত ধারা। তোমার ক্ষমার বিমুগ্ধতায়  সিজদায় অবনত আমি এক নির্মল - পবিত্র সাহসী সৈনিক। ____________________________ কলমে:- মুহসিনাহ তাসনিম লোবা # অভিযাত্রী_নবরূপে_সোনালি_দিনের  

পথযাত্রা ~ আবু নাঈম || অভিযাত্রী ||

Image
  পথযাত্রা   চারদিখে মৃত্যুর উৎসব  বাতাসে ক্রন্দন কলরব, ব্যাতিত চিত্ম প্লাবিত দু আঁখি,আমি রই নির্বাক! হয়তো এখনি আসবে  আমারো চলে যাওয়ার ডাক। জানি হারিয়ে যাবো  আমি কালের গর্ভে, নামবে ধস জীবন গর্বে। নামখানি মোর হারিয়ে  যাবে,হবো নিথর লাশ ধরার পরে মুছে যাবে আমার ইতিহাস।  দিনদুনিয়া থাকবে পরে থাকবো আমি মাটির ঘরে। পরহইবে সবাই আমার মুছবে ইতিহাস।  তবু আজো আছি ডুবে এই দুনিয়ার মোহে, সৃষ্টি আমার কিসের লাগি ভূলে রঙের গৃহে।  হয়তো বেশি নাইতো সময় তবু অচেতন,  দিনে দিনে দিন যে ফুরায়  ভাবলিনা রে মন!! কলমেঃ  তরুণ কবি আবু নাঈম   অভিযাত্রী  নবরূপে সোনালি দিনের!                     

পশ্চিমনামা-২ ~ কবি এস এ সরণ | (অভিযাত্রী)

Image
  পশ্চিমনামা   সামন্তবাদের দিনে বৈরাগ্যবাদের ছলে  পোপেরা হয়েছিল রাজ্যমালিক রাজার অত্যাচার,শ্রমিকের অনাহার, চার্চের আকামে হইলো বিলীন।  সামন্তবাদ গেলো সেকুলারিজম এলো, মডার্নিসিজম নিয়ে বসলো তারা নিজেদের সাজাতে বিশ্বকে কাঁপাতে  নতুন ফন্দিতে হলো মাতোয়ারা।  ফেমিনিজম আর গণতন্ত্রকে লিবারেলিজম  নামে দিলো ছড়িয়ে  এভাবে বিশ্বকে শাষণ শোষণ করে  গণতন্ত্রের হাতকরা দিলো পড়িয়ে।  গণতন্ত্রের ধোকায় পড়িয়াছে যে বোকায় মস্তিষ্কটা  তার আস্ত গোবর  গণতন্ত্রের নিচে ক্রুসেডের বাণী থাকে বাকি নেই  তো এই কথাটি বোঝার। সিরিয়া, ইরাক,লিবিয়া,আফগানেই  যে শুধু গণতন্ত্রের দরকার  মিয়ানমারে যে সামরিক সরকার  সেখানে তাহাদের নেইতো খবর!  কলমেঃ  এস এ সরণ     

পতিতার কবি ~এ আ শ্রাবণ || অভিযাত্রী ||

Image
  পতিতার কবি    যদিও বেশ ভালো তার কবিতার মান, সাহিত্য জগতে রয়েছে অনেক অবদান।  কবি-লেখকগন গায় তার গুণগান,  তথাপি সে মানুষরূপী শয়তান। শালা করেছিলো ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা,  ইতিহাস বিকৃত করে বনে গেলো প্রতিষ্ঠাতা। মুসলিম সাহিত্যিকরা দিচ্ছে তাকে বিশ্বকবি উপাধি,  ধিক্কার জানাই, সে তো ছিলো প্রবল ইসলাম বিরোধী। ৪৩ খানা পতিতার মালিক ছিলো তার পরিবার,  অনৈতিক পন্থায় গড়েছিলো টাকার পাহাড়।  রাতারাতি বনে গেলো ঠাকুর জমিদার,  তবে ইতিহাস দেয় নি কুকর্মের ছাড়। কার বিষয়ে বলছি বুঝেছ আশা করি, তবে এ ইসলাম বিদ্বেষীর সাহিত্যচর্চা দাও ছাড়ি। ✍️ কলমে~  তরুণ কবি এ আ শ্রাবণ   অভিযাত্রী ফেইসবুক গ্রুপ থেকে সংগৃহীত। 

অভিযাত্রী কর্তৃক নির্বাচিত "শহিদী গল্প"

Image
অভিযাত্রী কর্তৃক নির্বাচিত   " শহিদী গল্প "  আমাদের সালাফদের মধ্য হতে আবু হুদামাহ (রা.) একজন বড় মুজাহিদ ছিলেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয়েছে জিহাদের ময়দানে। বিশেষ করে, রোমানদের  বিরুদ্ধে তিনি অনেক যুদ্ধ করেছেন। আবু হুদামাহ (রাঃ) একবার মসজিদে নববীতে বসে তার বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলেন। তখন তার বন্ধুরা বলল,"তুমিতো সারাটা জীবন জিহাদের ময়দানে কাটিয়েছো। আজকে তুমি আমাদের জিহাদের ময়দানে এমন একটি ঘটনা শোনাও যে ঘটনাটি তোমাকে সবচাইতে বেশি আশ্চর্যান্বিত করেছে।" আবু হুদামাহ ( রাঃ) বললেন, আচ্ছা শোনো "আমরা একবার রোমানদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত দিকা নামক স্থানের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম।পথিমধ্যে আমি একটি উট কেনার জন্য এক জায়গায় যাত্রাবিরতি করলাম। আমাদের অবস্থানের কথা শুনে একজন মহিলা আসলো এবং আমার সাথে দেখা করলো এবং বললো, "আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়েছেন। আমার কয়েকজন ছেলে ছিল তারাও শহীদ হয়েছে। আমার কয়েকজন ভাই ছিল তারাও জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়েছেন। এখন শুধুমাত্র আমার একটি ছেলে আছে , আর ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। আমার ছেলেটির বয়

সালাতুল ইসতিসক্বা ~মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান সাফিন ||মুক্ত লিখনী||

Image
  সালাতুল ইসতিসক্বা.. ... খুব সম্ভব আমার বয়স তখন ৬ কি ৭ বছর। কেবল শৈশবের বারান্দায় হামাগুড়ি দেয়ার বয়স। সকালে সূর্য মামার আগে উঠে মক্তবে যাওয়াও শুরু করেছি তখন।ঠিক সালটা মনে নেই তবে এতটুকু খুব ভালভাবে স্বরণে আছে সময়টা গ্রীষ্ম কালের।  গরম আর তাপাদহে তখন পুরো গ্রামবাসীর হাসফাঁস অবস্থা।রৌদ্রের প্রখরতায় জমিন ফেটে চৌচির। অনাবৃষ্টিতে ফসলের বেহাল দশা। খড়ায় খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়,নদী-নালা শুকিয়ে খা খা করছে। ফলে যেমন বেড়েছে জনজীবনের দূর্ভোগ তেমন হচ্ছে বিশাল অংকে ফসলের ক্ষতি।গ্রামের মুরব্বীরা বলাবলি করছিল এমন খড়া নিজের জন্মে দেখেনি তারা। আমি তখন শৈশবে।  গরম কি আর খরা কি তার কি বা বুঝতাম!! সারাদিন খেলাধূলা আর ক্লান্ত হয়ে গেলে পুকুরে ঝাপাঝাপি,, এই ছিল রোজকার কাজকর্ম।  ঐ সময়টায় দাদী বেঁচে ছিলেন। আমাকে ঘর্মাক্ত অবস্থায় দেখলে কোলে বসিয়ে নিজ আঁচল দ্বারা মুখ মুছে দিতেন আর মাঝে মাঝে লেবুর শরবত বানিয়ে খাওয়াতেন। দিনটি ভাল করেই মনে আছে আমার। সেদিন ছিল রবিবার। এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব গ্রামবাসীর কাছে "সালাতুল ইসতিক্বা'র" কথা বলল।নতুন নাম, খায় না মাথায় দেয় সেটাও জানি না। পড়ে বাবার কাছ থেকে জানতে

হঠাৎ বৃষ্টি || আয়েশা সিদ্দিকা মীম ||

Image
  হঠাৎ বৃষ্টি   খরার দাপটে চৌচির মাঠ ধূলিকনায় অস্থির জীবন, রসহীনায় ফসল নেতিয়ে পড়ে দুঃখের দরিয়া হলো কৃষকের মন। শৈশবের মতো ঘনঘন সে যে আসে না আর ধরনীর আঙিনাতে, হাত-পা ছড়িয়ে তার ছোঁয়াতে করবো দুআ,এলে সে মনের সুখে। অত:পর... বিস্মিত করে হঠাৎ ই পুবাকাশে কালো রঙের মেঘেরা ভাসে, বাঁজখাই স্বরে,বিজলীর সনে বারিধারা হয়ে ধরনীতে হাসে। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে সোনার ফসল ফিরে পেয়েছে প্রাণ, ভালোবাসি আমি,বেশি ভালোবাসি বৃষ্টিভেজা মাটির ঘ্রাণ। কলমেঃ  ~ আয়েশা সিদ্দিকা মীম