Posts

Showing posts from June, 2021

অভিযাত্রী কর্তৃক নির্বাচিত "শহিদী গল্প"

Image
অভিযাত্রী কর্তৃক নির্বাচিত   " শহিদী গল্প "  আমাদের সালাফদের মধ্য হতে আবু হুদামাহ (রা.) একজন বড় মুজাহিদ ছিলেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয়েছে জিহাদের ময়দানে। বিশেষ করে, রোমানদের  বিরুদ্ধে তিনি অনেক যুদ্ধ করেছেন। আবু হুদামাহ (রাঃ) একবার মসজিদে নববীতে বসে তার বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলেন। তখন তার বন্ধুরা বলল,"তুমিতো সারাটা জীবন জিহাদের ময়দানে কাটিয়েছো। আজকে তুমি আমাদের জিহাদের ময়দানে এমন একটি ঘটনা শোনাও যে ঘটনাটি তোমাকে সবচাইতে বেশি আশ্চর্যান্বিত করেছে।" আবু হুদামাহ ( রাঃ) বললেন, আচ্ছা শোনো "আমরা একবার রোমানদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত দিকা নামক স্থানের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম।পথিমধ্যে আমি একটি উট কেনার জন্য এক জায়গায় যাত্রাবিরতি করলাম। আমাদের অবস্থানের কথা শুনে একজন মহিলা আসলো এবং আমার সাথে দেখা করলো এবং বললো, "আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়েছেন। আমার কয়েকজন ছেলে ছিল তারাও শহীদ হয়েছে। আমার কয়েকজন ভাই ছিল তারাও জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়েছেন। এখন শুধুমাত্র আমার একটি ছেলে আছে , আর ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। আমার ছেলেটির বয়

সালাতুল ইসতিসক্বা ~মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান সাফিন ||মুক্ত লিখনী||

Image
  সালাতুল ইসতিসক্বা.. ... খুব সম্ভব আমার বয়স তখন ৬ কি ৭ বছর। কেবল শৈশবের বারান্দায় হামাগুড়ি দেয়ার বয়স। সকালে সূর্য মামার আগে উঠে মক্তবে যাওয়াও শুরু করেছি তখন।ঠিক সালটা মনে নেই তবে এতটুকু খুব ভালভাবে স্বরণে আছে সময়টা গ্রীষ্ম কালের।  গরম আর তাপাদহে তখন পুরো গ্রামবাসীর হাসফাঁস অবস্থা।রৌদ্রের প্রখরতায় জমিন ফেটে চৌচির। অনাবৃষ্টিতে ফসলের বেহাল দশা। খড়ায় খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়,নদী-নালা শুকিয়ে খা খা করছে। ফলে যেমন বেড়েছে জনজীবনের দূর্ভোগ তেমন হচ্ছে বিশাল অংকে ফসলের ক্ষতি।গ্রামের মুরব্বীরা বলাবলি করছিল এমন খড়া নিজের জন্মে দেখেনি তারা। আমি তখন শৈশবে।  গরম কি আর খরা কি তার কি বা বুঝতাম!! সারাদিন খেলাধূলা আর ক্লান্ত হয়ে গেলে পুকুরে ঝাপাঝাপি,, এই ছিল রোজকার কাজকর্ম।  ঐ সময়টায় দাদী বেঁচে ছিলেন। আমাকে ঘর্মাক্ত অবস্থায় দেখলে কোলে বসিয়ে নিজ আঁচল দ্বারা মুখ মুছে দিতেন আর মাঝে মাঝে লেবুর শরবত বানিয়ে খাওয়াতেন। দিনটি ভাল করেই মনে আছে আমার। সেদিন ছিল রবিবার। এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব গ্রামবাসীর কাছে "সালাতুল ইসতিক্বা'র" কথা বলল।নতুন নাম, খায় না মাথায় দেয় সেটাও জানি না। পড়ে বাবার কাছ থেকে জানতে

হঠাৎ বৃষ্টি || আয়েশা সিদ্দিকা মীম ||

Image
  হঠাৎ বৃষ্টি   খরার দাপটে চৌচির মাঠ ধূলিকনায় অস্থির জীবন, রসহীনায় ফসল নেতিয়ে পড়ে দুঃখের দরিয়া হলো কৃষকের মন। শৈশবের মতো ঘনঘন সে যে আসে না আর ধরনীর আঙিনাতে, হাত-পা ছড়িয়ে তার ছোঁয়াতে করবো দুআ,এলে সে মনের সুখে। অত:পর... বিস্মিত করে হঠাৎ ই পুবাকাশে কালো রঙের মেঘেরা ভাসে, বাঁজখাই স্বরে,বিজলীর সনে বারিধারা হয়ে ধরনীতে হাসে। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে সোনার ফসল ফিরে পেয়েছে প্রাণ, ভালোবাসি আমি,বেশি ভালোবাসি বৃষ্টিভেজা মাটির ঘ্রাণ। কলমেঃ  ~ আয়েশা সিদ্দিকা মীম 

খুঁজবে আমায়___/আয়েশা সিদ্দিকা মীম [মুক্ত লিখনী]

Image
  খুঁজবে আমায়  হয়তো সন্ধ্যা তাঁরার মতো     কোনো এক সাঁঝে নিকষ কালো মেঘের ফাঁকেও    আচমকা আমায় খুঁজবে। সেই ভোরের পাখির মতো   কোনো রৌদ্রজ্জ্বল দিন  একটু কুজন শুনতে ছলছলে নয়নে আমায় খুঁজবে। সাতরঙা সেই রংধনুর মতো     কোনো বৃষ্টিস্নাত বিকেলে একটু আমার ছোঁয়া পেতে  ব্যাকুলতায় আমায় খুঁজবে। তারাবিহীন একলা চাঁদের মতো         একাকি কোনো রাতে জোছনাবিলাসে রাতদুপুরে     খুঁজবে আমায় খুঁজবে। কলমে -  ~ আয়েশা সিদ্দীকা মীম

"ভাব কর এমন ব্যক্তির সাথে যার অভাব নেই"____/মুক্ত লিখনী

Image
 "ভাব কর এমন ব্যক্তির সাথে যার অভাব নেই"   খলীফা হারুনুর রশীদ এর শাসন আমলে ' বাহলুল ' নামে এক পাগল ছিল। যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো। কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বাদশাহ তাকে ডেকে বললেন, “ বাহলুল, ওহে পাগল! তোমার কি আর জ্ঞান ফিরবে না..?” বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে চিৎকার দিয়ে বললেন- “ ওহে হারুন, ওই পাগল! তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না..?” বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, “ আমি পাগল নাকি তুমি, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে..?” বাহলুল বললেন, “ আমিই বুদ্ধিমান। ” বাদশাহ বললেন, “ কীভাবে ..?” বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, “ আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস। এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গীনশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল..?” বাহলুলের মুখে এ কথা শোন